পাকিস্থানি নৌকা নিয়ে হামলার কৌশল 10 জন ক্রু সহ পাকিস্তানি নৌকাটি আটক।সঙ্গে 300 কোটি টাকার অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং 40 কেজি মাদক নিয়ে ধরা পরে ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর হাতে।
ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনী (ICG), এটিএস গুজরাটের অপারেশন চালালো একটি গোপন তথ্যের ভিত্তিতে, ভারতীয় জলসীমায় 10 জন ক্রু সহ একটি পাকিস্তানি নৌকায় বোঝাই করা অস্ত্র, গোলাবারুদ সহকারে ধরা পড়লো পাকিস্থানি নৌকা। 300 কোটির মাদক উদ্ধার 40 কেজি মাদক বহন করে গুজরাট উপকূলে ঢুকেছিল নৌকাটি৷
আইসিজি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মাছ ধরার নৌকা করে আল সোহেলি নামে এক ব্যাক্তি ও আরো 9 জনকে আটক করেছে উপকূল রক্ষী বাহিনী। তাদের তদন্তের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে।
ICGS অরিঞ্জয় জাহাজের মাধ্যমে “নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে 25-26 ডিসেম্বর রাতে অপারেশনটি পরিচালিত করা হয়। ICG তার জাহাজটি পাকিস্তানের নোশনাল ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম বর্ডার লাইনের (IMBL) কাছে মোতায়েন রেখেছিল, কোস্ট গার্ড বিবৃতি দেয়।
আইসিজি বিবৃতিতে আরও জানায়, ” একটি পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকা আল সোহেলিকে আটক করে অস্ত্র, গোলাবারুদ সঙ্গে 300 কোটি টাকার প্রায় 40 কেজি মাদক উদ্ধার করা হয়েছে।”
এই বছর যৌথ অভিযান চালিয়ে IGC এবং রাজ্য ATS-এর তৃতীয় সাফল্য। এই ধরনের সপ্তম যৌথ অভিযান এবং তিন মাসের মধ্যে।
ভারতীয় কোস্ট গার্ড এবং গুজরাট অ্যান্টি টেরোরিস্ট স্কোয়াড দুই মাস আগে অভিযান চালিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে 350 কোটি টাকা মূল্যের 50 কেজি হেরোইন বহনকারী একটি পাকিস্তানি নৌকা আটক করে ‘আল সাকার’ নামক নৌকাটি আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সীমারেখার অতিক্রম করে চলে আসে, ছয়জন ক্রু সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
“উদ্ধারকৃত অস্ত্র ও মাদকের চালানটি পাকিস্তানে থাকা একটি প্রধান মাদক ব্যবসায়ী মহম্মদ কাদার দ্বারা মেইনটেইন করা হচ্ছিল। গুজরাট ATS তথ্য পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালিয়ে ছয় পাকিস্তানি গ্রেপ্তার হয়, “পুলিশ মহাপরিচালক আশিস ভাটিয়া জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা কে।
মাদক বহনকারী নৌকা 200 কোটি টাকার 40 কেজি মাদক বহন করে এই বছর September এ ভারতীয় জলসীমার ছয় মাইল ভিতরে আটক করে উপকূল রক্ষী বাহিনী।
রাজ্য ATS এবং ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনীর এই অভিযানের সুফল মাদক চোরাচালানের ক্ষেত্রে প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করেছে। গুজরাট উপকূল দিয়ে পাচারের চেষ্টা আগেও বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সহ বিদেশী নাগরিক ধরা পড়েছে।