Sukanya Mondal Arrested
অনুব্রত-কন্যা গ্রেফতার তো হলেন ! এখন উঠে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দিল্লিতে দীর্ঘ জেরার পর গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে ধৃত সুকন্যা মণ্ডল।
গরু পাচার মামলায় দিল্লিতে অনুব্রত-কন্যা সুকন্যাকে বারংবার ডাকা সত্বেও তিনি হাজিরা এড়িয়ে গেছেন। এদিন সুকন্যার গ্রেফতারের পর তার বিরুদ্ধে প্রত্যক্ষ মানি লন্ডারিং অভিযোগ উঠে আসছে । জানা যাচ্ছে অনুব্রতর হাত থেকে দায়িত্ত্ব চলে গিয়েছিলো সুকন্যার কাছে। এই সকল লেনদেন দেখতেন তিনি ।ভুল করলে খেতে হতো ধমক।এমনকি ব্যাবসার বিষয়ে দরকার পড়লে সরাসরি সুকন্যার সাথে যোগাযোগ করতেন অন্যান্যরা।
একজন প্রাথমিক শিক্ষক হয়ে কি করে ১৬ কোটি টাকার একটি ফিক্সড ডিপোজ়িট রয়েছে তাঁর নামে। এ ছাড়া, বীরভূমে সুকন্যার মালিকানায় রয়েছে বিঘা বিঘা জমি।সুকন্যার নামে বোলপুর বাইপাস সংলগ্ন এলাকায় ১০ বিঘা জমি আছে বলে দাবি ইডির।
রয়েছে রাইস মিল।
এদিন শুরু থেকেই ইডির জেরায় নিজের সক্রিয় অংশগ্রহণ গরূপাচার সহ অন্যান্য বিষয়ে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। ব্যবহার করেছিলেন কয়েকটি শব্দ “আমি নয় বাবা জানেন”।
এরপরেই বিভিন্ন কোম্পানির এবং তার লেনদেন সংক্রান্ত ব্যাপারে সুকন্যাকে প্রশ্ন করতেই তিনি চুপ করে যান। আশানুরূপ কোনো উত্তর না পাওয়ায় অনুব্রত কন্যাকে গ্রেফতার করলো ইডির আধিকারিকরা ।
সিবিআই এর হাতে সাড়ে আট মাস আগে একই মামলায় গ্রেফতার হন অনুব্রত।এবার ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল।
বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে তাঁকে দীর্ঘ ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেফতার করা হয়। একই মামলায় সাড়ে আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুকন্যাকে। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় অনুব্রত-কন্যাকে। ইডি সূত্রে দাবি, সুকন্যা জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করেন। তার পরই সন্ধ্যায় তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে দিল্লিতে নিজেদের হেফাজতে নেয় ইডি। অনুব্রত এবং তাঁর পরিবারের সম্পত্তি সংক্রান্ত খোঁজখবর চালাতে গিয়ে ইডির স্ক্যানারে আসেন সুকন্যা তলব করা হয় তাকেও। গত মার্চ মাসেই তাঁকে এক বার তলব করা হয়। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়ান। তার আগের বার আইনজীবী মারফত চিঠি দিয়ে সুকন্যা বেশ কিছু দিন সময় চেয়েছিলেন। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ বাবার অ্যারেস্ট মানসিক ভাবে কষ্ট দিয়েছিলো অনুব্রত কন্যাকে তাই বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করছিলেন।
গত বছর অগস্টে অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পরই সুকন্যাকে দিল্লিতে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। তারা দাবি করে, বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে কেষ্ট-কন্যার কাছে প্রশ্ন করা হয়।মণীশ কোঠারিই জানেন তিনি বলেন। তার পর মণীশকে গ্রেফতার করে ইডি। ইডি সূত্রে খবর, ওই কারণেই অনুব্রত এবং সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবা হয়।