পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) নিয়ে বৈঠকে জটিলতা চরমে।কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন নিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা যাচ্ছে না। কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবী রাজ্যের পরিস্থিতি খুবই সংবেদনশীল।
এমন অবস্থায় প্রতি বুথে মাত্র একজন জওয়ান দিয়ে ভোট করলে তাঁর প্রাণের ঝুঁকি সম্ভাবনা, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর।
পঞ্চায়েত ভোট বাহিনী বিভ্রাট নিয়ে বিএসএফ আইজি ও নির্বাচন কমিশনার বৈঠকে কি উঠে এলো
বৃহস্পতিবার রাতে দীর্ঘ বৈঠক চলে দুই কর্মকর্তার।
দেড় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ভোট পরিচালনা নিয়ে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটর আইজি (বিএসএফ)-র এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা।
রাজ্যের সব ভোটকেন্দ্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, এটা কি সম্ভবপর হবে উত্তরে বিএসএফ, আইটিবিপি-সহ সব বাহিনীর কর্তারা জানিয়েছেন, এক সেকশনের কমে বাহিনী যার সদস্য সংখ্যা ১১ জন। রাজ্যের বর্তমান নির্বাচন পরিস্থিতি ঘোরালো। এই পরিস্থিতিতে হাফ সেকশন অর্থাৎ ৪ জনকে প্রতি বুথে রাখতে হবে।
বুথ দখল ও ঝামেলা গুলি চালানোর শঙ্কা তারা উড়িয়ে দিচ্ছেন না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে এই সমস্ত বিষয় উল্লেখ করে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
রাজ্যের নির্বাচন কমিশন গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে তাদের নথি পেশ করে। কোর্টের আর্জি মেনেই বাকি ৪৮৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাতে রাজি হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। অর্থাৎ গ্রাম বাংলার ভোটে মোতায়েন থাকবে ৮২২ কোম্পানি বাহিনী ।একাধিক বিরোধী রাজনৈতিক দল ও একাধিক নেতা যেমন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী থেকে সিপিআইএম নেতৃত্ব ভোটের দফা বৃদ্ধির দাবিতে মামলা করেন ।হাইকোর্ট এবং প্রধান বিচারপতি , বাংলায় পর্যাপ্ত বাহিনী আছে এই জানিয়ে ভোট এক দফাতেই করার ঘোষণা দেন।
কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে জটিলতা এর পরেও সমাধান হয়নি ,সব বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হাইকোর্ট নির্দেশিত ফর্মুলা প্রত্যেক বুথে ৫০ঃ৫০ অনুপাতে রাজ্য পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়োজিত থাকবে।
বুথে রাজ্য পুলিশের সংখ্যা অনুযায়ী সমান সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীকেও রাখার নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। বাহিনী মোতায়েনের পরিকল্পনা কিভাবে হবে পর্যবেক্ষণে দায়িত্ব পান বিএসএফ আইজিক। গতকাল হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম যে নির্দেশ দেন রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট গণনার পর ১০ দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে থাকবে।