ফের ভাঙড়ে তৈরি হয়েছে অসস্তিকর পরিস্থিতির। তৃণমূলের বলছে বিস্ফোরণে আইএসএফ জড়িত ।
পঞ্চায়েত ভোটের দিন ঘোষণা থেকেই উত্তপ্ত ভাঙ্গর । ভাঙড়ে থামছে না অশান্তি । তৃণমুল বনাম আইএসএফ দ্বন্দ্বে বোমা গুলির লড়াই দেখেছে ভাঙ্গর এর মানুষ ।বৃহস্পতিবার ভাঙড়ে ভয়াবহ বিস্ফোরণ সেই অশান্তির সলতে তে আরো একবার আগুন লাগিয়ে দিলো।
এদিন , বোমা বাঁধতে গিয়ে প্রবল বিস্ফোরন কাশীপুর থানা এলাকায়। এখনকার চকমরিচা গ্রামে এই বিস্ফোরণ হয় বলে খবর ।বিস্ফোরণ তীব্রতা এতটাই ছিলো যে বীভৎসভাবে পুড়ে গিয়েছেন বেশ কিছু ব্যাক্তি। প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে আহতদের চারজনকে নিয়ে আসা হয়েছে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। চিত্তরঞ্জনেও কয়েকজনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ভাঙ্গরে বিষ্ফোরণ প্রসঙ্গে তৃণমূল আহতদের আইএসএফ কর্মী বলে দাবি করছে। বোমা বাঁধার কাজে এরাই যুক্ত ছিলো অভিযোগ শাসক দলের। চকমরিচা যে গ্রামে বোমা বিষ্ফোরণ সেখানকার বাসিন্দারা এইবাপারে কোনো বক্তব্য দিতে চায়নি। অধিকাংশ বাড়িতে তালা ঝুলছে নীরবতা গ্রাম জুড়ে।
বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি বক্তব্য,তিনি আরো বলেন ‘আইনের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। বোমাবারুদ বিহীন রাজনীতিই লক্ষ্য। কী হয়েছে সেই বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।
নওশাদ বলেন “আরও একটা বিষয় বলা হচ্ছে, বোমা বাঁধতে গিয়ে ঝলসে গিয়েছে। ঝলসে গিয়েছে বোমা বাঁধতে গিয়ে, নাকি বোমা মারা হয়েছে আর ঝলসেছে সেটাও দেখা দরকার।’
তৃণমূলের বিধায়ক শওকত মোল্লা ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বলেন ‘চকমরিচা গ্রামে বোমা বাঁধতে গিয়ে আহত ৩ জন আইএসএফ কর্মী । গ্রামের লোকজন তাদের ধরে ফেলে। কাঁটাতলায় তাঁদের ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। চিত্তরঞ্জন হাসপাতালে আহতদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশের বিরুদ্ধে শওকত প্রশ্ন তুলে বলেন “কীভাবে আইএসএফের কর্মীরা এখনও বোমা বাঁধছে? আর কোথা থেকে এত বোমা, বন্দুক সাপ্লাই পাচ্ছেন উনি। সেটাই প্রশ্ন রইল নওশাদ সিদ্দিকিকে?’