PSC Food SI Recruitment Scam : পরীক্ষার ফর্ম ফিল আপ না করেই নাম পি এস সির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে । ফুড এস আই এর চাকরী মালদহের যুবকের। তবে শুনে তাজ্জব লাগলেও এটা হতে পারে সরকারি চাকুরীর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট তার নাম উঠে যাচ্ছে।এটা হয়তো টাকা দিয়ে চাকরী ভাবছেন !!!??
একেবারেই নয়।তাহলে কি ভাবে পেলো এই চাকরী টাইপিং মিসটেক হলে বাবা মায়ের নাম ,ডকুমেন্টস ভোটার কার্ড সেগুলি আলাদা হবে। আমাদের ব্যাংকে টাকা ঢুকে যায় কিছু সময়।সেটা আবার ফিরত হয়ে যায়।ভাবছেন সার্ভারের ত্রুটি সেটিও নয়।
তাহলে কি ভাবে পিএসসি ফুড এস আই (PSC Food SI Recruitment ) পরীক্ষায় ফ্রম ফিলআপ ,অংশগ্রহণ না করেও চাকরী পেলেন মালদহের এই যুবক গোলাম সারওয়ার আলম সিদ্দিকি ।
পরীক্ষায় ফ্রম ফিলআপ অংশগ্রহণ না করেই পিএসসি ওয়েবসাইট ফুড এস আই নিয়োগ তালিকায় অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে মালদহের চাঁচল থানার যুবকের নাম
psc-food-si-recruitment-list-name-of-the-youth-of-malda-chanchal-area-in-the-official-website-without-perticipate-from-fillup-for-the-exam
এই ঘটনার সূত্রপাত মালদহের এক স্কুলের শিক্ষক ওই এলাকায় শিক্ষকতা করতে আসেন। তিনি ওই এলাকায় ২০১৭ থেকে ২০ সাল পর্যন্ত চাকরী করেন।
তিনি এই ফুড এস আই চাকরী পাওয়া যুবক গোলাম সারওয়ার আলম সিদ্দিকি কে বলেন তিনিও এই ভাবে শিক্ষকের চাকরী পান। ওই শিক্ষক কে যুবক বলেন তাহলে তার চাকরীর তালিকায় নাম যেনো থাকে।এটা চাল ছিলো এই চাকরী দুর্নীতি ( Recruitment Scam ) কে পাকড়াও করার জন্য।
পরিমল কুন্ডু তার সঙ্গে আলাপ হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।নদিয়ার ভীমপুরের বাসিন্দা পরিমল কুণ্ডু মালদহের চাঁচল থানার (Chanchal Police Station) বাসিন্দা গোলাম সারওয়ার আলম সিদ্দিকি কাছ থেকে চাকরী বাবদ সাত লক্ষ টাকা দাবি করেন।
ওই যুবক গোলাম সারওয়ার আলম সিদ্দিকি বলেন লিস্টে তার নাম থাকবে তবে তিনি টাকা দেবেন।পরিমল কুণ্ডু তাকে বলে অর্ধেক তিন লাখ টাকার মতো দিতে।সেই প্রস্তাবেও রাজি হয় না যুবক।
তখন ওই ব্যাক্তি গোলাম সারওয়ার আলম সিদ্দিকি কাছে প্রস্তাব দেয় সাতদিনের মধ্যে নিয়োগপত্র পাঠিয়ে দেবে।
এর পরেই মালদহের চাঁচল থানার যুবক গোলাম সারওয়ার আলম সিদ্দিকি তার নাম দেখতে পায় পি এস সি র অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে ,তিনি তাজ্জব হয়ে যান ফ্রম ফিল আপ না করে, পরীক্ষায় না অংশগ্রহণ করে তিনি PSC Food SI এই পদে কি ভাবে চাকরী পেলেন।
তারপর থেকেই নদিয়ার ভীমপুরের বাসিন্দা পরিমল কুণ্ডু তাকে টাকা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকে।টাকা না দিলে এখন আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দিচ্ছে। এইরকম অভিযোগ করছে সারওয়ার আলম সিদ্দিকি ।
তিনি বাধ্য হয়ে মালদহের চাঁচল থানা তে লিখিত অভিযোগ জানান। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।তাদের বক্তব্য ওই ওয়েবসাইট পি এস সি র সেটা নিয়ে সংশয় আছে ।যদিও পিএসসি ফুড এস আই চাকরী পাওয়া মালদহের চাঁচল থানার যুবকের দাবী তিনি অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে নিজে দেখেছেন সেই নাম।
চাকরী দুর্নীতি( Recruitment Scam) তে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় এই চক্র চলছে , যার খোঁজ পাওয়া গেছে ।নেতা মন্ত্রী এস এস সি র অফিসারেরা জেলে।এই অবস্থায় পিএসসি ফুড এস আই ২০১৮ সালের লিস্টে তার নাম কি ভাবে উঠলো সেই চিন্তায় ওই যুবক।
এই মালদহের চাঁচল থানার যুবক গোলাম সারওয়ার আলম সিদ্দিকি তার দাবী তিনি টাকার বিনিময়ে চাকরী করতে চান নি। কিছুটা মজার ছলে ,আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।সেই বিষয় যে এই জায়গায় গিয়ে দাঁড়াবে তিনি ভাবতে পারেন নি। পুলিশ PSC Food SI চাকরী দেওয়া ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে ,তদন্ত শুরু করেছে।