মনে আছে শোলেতে আমজাদ খানের কথা ,সেই গব্বর আমজাদ খান ,দেখলে নয় সত্যি তাও পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে।
তিনি কথাও বললেন তার শিল্পী সত্ত্বা নিয়ে ,এক্ষেত্রে তার আক্ষেপ সত্যজিতের সিনেমায় অভিনয় সুযোগ পেলেন না।বর্তমানের ভিলেন নামক দক্ষিণী মাতামাতি তার ভালো লাগে না।
অভিনয়ের দক্ষতার চেয়ে ক্যামেরায় , কারিগরী তাই অভিনীত চরিত্র পর্দায় প্রাণ পায় না তেমন ভাবে।
আপনাদের হয়তো মনে হচ্ছে আধুনিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স না সেইরকম নয়।ইনিও আমজাদ খান, ওনার মুখশ্রী সেই কথা বলছে।
রবি ঘোষ,জয়া ভাদুড়ী ,ভানু বন্দোপাধ্যায়, সন্তোষ দত্ত, তুলসী চক্রবর্তী, জহর রায়দের নিয়ে তিনি বলেন। রবিদার কমিক সেন্স খুবই ভালো ছিলো।
এমনিতে রাশভারী ছোটখাটো ভাবলে হবে কি আসলে এক দম ধানি লঙ্কা ,ঝাঁজ অভিনয়ে বোঝা যায়।
বাংলা সিনেমায় ক্লাসিক যুগ নিয়ে তার দুর্বলতা আছে এটা প্রমাণিত। বাংলায় অভিনয় করেছেন উৎপল দত্ত মতো বিশাল মহিরুহুর ,সঙ্গে সেখানে তার অভিনয় দেখে মনে হয়নি তিনি অভিনয় করছেন।নিজের চরিত্র হয়ে ওঠার জন্য নাট্য ব্যাক্তিত্ব উৎপল দত্ত কে সম্মান জানালেন।
অমিতাভ যেমন প্রচার পেয়েছে।জয়া ভাদুড়ী কে নিয়ে হতাশা তার কথায় প্রকাশ পেলো। জয়া দাপুটে অভিনেত্রী ভারতীয়, সিনেমা তাকে ব্যাবহার করতে পারলো না।
আধুনিক বাংলা সিনেমার ডাইরেক্টর দের নিয়ে তার মতামত হাতে গোনা কিছু ডিরেক্টর আছেন যাদের কাজ দেখে মনে হয় শিল্প।
বাংলার সিনেমা র কলাকুশলী এখন রাজনীতি নামের প্রকৃত নাট্যশালায় নাম লিখিয়েছে। যাদের উন্নতি সুখ্যাতি জগৎ জুড়ে।যে ডাইরেক্টর সম্মানীয় অস্কার পেয়েছেন। যেখানে চরিত্রের আঙ্গিক বদলে দিতে পারে বাঘা অভিনেতা ,ডাইরেক্টর , তাদের বলতে হচ্ছে বাংলা, সিনেমার পাশে দাঁড়ান।
যে বাঙালি নিজেই প্রতিবেশীর পাশে দাঁড়ান না,সেই বাঙালির উত্থান নিয়েও সন্দিহান এই বুকে কাঁপন ধরানো অভিনেতা।
amjad-khan-of-the-bollywood-film-sholay-played-the-role-of-gabbar-with-a-look-alike-in-habra-west-bengal.
তার মতে কাজ ই পারে নিজের স্থান ফিরিয়ে নিয়ে আসতে ।শিল্পী তার শিল্প ভাবনা নিয়ে কাজ করে যাবে।সেখানে রাজনীতির প্রবেশ থাকবে নিজেকে অভিনেতা হিসেবে দেখতে হবে ,শিল্পী নিজে সেটা মনে করতে হবে।অভিনয় সাধারণ মানুষের সঙ্গে হলে সেটা তাদের ভালো লাগে না।
এতো কিছুর পর তার কাছে ,রিকোয়েস্ট করলাম একটা সেলফি, রেগে গিয়ে বললেন খৈনি দে, আমি বললাম সেতো খাইনে ,মনে আছে ” কিতনে আদমি থে, আমি পলায়ন শ্রেয় বলে সিধান্ত নিলাম” হাবড়া বর্তমানে বিরিয়ানি পোলাও এর আস্তানা , ঝরে পড়া নাটকের সো কল্ড ফুড ব্লগারদের স্থান হলেও,গব্বর যে ঠাকুরসাব এর থেকে বাঁচতে ,এখানে লুকিয়ে কে জানতো।আবার নতুন জায়গা খুঁজতে হবে তাকে।
( ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পাওয়া , জনৈক ব্যাক্তি ,হাবড়ার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। ব্যাঙ্গ রসাত্মক একটু, লিখলাম ,ব্যাস্ত জীবনে গব্বর দের দেখা মেলে না। জে সি বি দের দেখা মেলে।একটু আলাদা স্বাদ হলে অসুবিধা তো নেই।ভালো ,লাগলে আমাদের একটি পেজ আছে ,ওখানে লাইক টা করলে কৃতজ্ঞ থাকিবো)