Kolkata Rape Case: ধর্ষণের হাত থেকে রেহাই পেলেন না IAS অফিসারের স্ত্রী এফ আই আর নিয়ে পুলিশের টালবাহানা

Kolkata Rape Case : রাজ্যের নারীদের নিরাপত্তা নিয়ে আবার প্রশ্ন ,ধর্ষণ নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা পশ্চিমবঙ্গে এবার সেই নির্যাতনের হাত থেকে IAS অফিসারের স্ত্রী রেহাই পেলেন না

রাজ্যে তিলোত্তমা হত্যা ও ধর্ষণ ঘটনায় যথেষ্ট চাপে শাসক দল ,তার মধ্যেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা রাজ্যে।হাইপ্রোফাইল ব্যাক্তি তাদের নিরাপত্তা নেই রাজ্যে। তদন্তে দায়ের হওয়া এফ আই আর নিয়ে প্রশ্ন কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের।

রাজ্যের নারী নির্যাতনের ঘটনা সেই নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এবার একা মহিলা তার স্বামী রাজ্যের বাইরে কর্মরত , IAS অফিসারের স্ত্রীকে ধর্ষনের অভিযোগ ।এই ঘটনার সূত্রপাত ১৪ এবং ১৫ ই জুলাইয়ের ।প্রথম দিন রাত ১১:৩০ নাগাদ দ্বিতীয় দিন ১৫জুলাই ভোর ৬:৩০ নাগাদ নির্যাতিতা মহিলাকে মাথায় রিভলভার ঠেকিয়ে ধর্ষণ করা হয় এই অভিযোগ।

এই ঘটনায় চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নিগৃহীতা ওই মহিলা(Kolkata Rape Case) ১৫জুলাই বিকাল ৪:১৫ তে লেক থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়ে পুলিশি হেনস্থার স্বীকার হয়।তাকে দীর্ঘক্ষণ থানায় বসিয়ে রাখা হয়।অভিযুক্তের পরিবার নিগৃহীতাকে থানায় হুমকি দিচ্ছে আদালতে পেশ সিসিটিভি তে দেখা যায়। অভিযুক্ত বাড়িতে ঢুকছে এবং বেরোচ্ছে সেই সিসিটিভি ফুটেজ নিগৃহীতা দিলেও গ্রহণ করেনি পুলিশ,এমন অভিযোগ।

এই মামলায় লঘু ধারা দেওয়া হয়েছে মামলায় নথিপত্র সেগুলি নিয়েও অভিযোগ সেখানেও দুর্নীতি র আভাস পাওয়া গেছে।এই রকম মামলায় শারীরিক পরীক্ষা সেটি গুরুত্বপূর্ণ নিগৃহীতা মহিলার শারীরিক পরীক্ষা হয়নি বলে পুলিশ কে জানিয়েছেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। অভিযুক্ত হুমকি দেয় তার বাড়িতে গিয়ে।নির্যাতিতার মেডিক্যাল নিজেই করে পুলিশ কে জমান দেয়।

শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ লেক থানায়়এক কর্তব্যরত ওসি,এর সঙ্গে সাব ইন্সপেক্টর যুক্ত আছেন একজন সার্জেন্ট ও তিনজন মহিলা পুলিশের কর্মচারী।

এদিন কোলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ নিম্ন আদালত থেকে পাওয়া জামিন বাতিল করে দেন।কোলকাতা পুলিশ কমিশনার কে নির্দেশ দিয়েছেন অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে যথার্থ পদক্ষেপ নেওয়ার ।

এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে রাজ্য কে আদালতে তিরস্কৃত হতে হয়।নিগৃহীতা মহিলা জানিয়েছেন পুলিশ জানায় তার মেডিক্যাল পরীক্ষা হবে ২০ শে অগাস্ট। অর্থাৎ ঘটনার ৩৫ দিন অতিবাহিত করে ,রাজ্যের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়।

রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয় ১৫ ই জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ লিখিত নিগৃহীতা মহিলা লেক থানায় যান, ওই থানায় মহিলা পুলিশ আধিকারিক উপস্থিত ছিলেন না।করেয়া থানা থেকে একজন মহিলা আধিকারিককে নিয়ে এসে নিগৃহীতা মহিলার(Kolkata Rape Case)বয়ান ভিডিও রেকর্ডিং পুলিশের সামনে হয়।রাজ্যের আইনজীবী দাবি নিগৃহীতা মহিলা মূল অভিযুক্তের নাম উল্লেখ করে নি।

ওই মহিলা যে মেডিক্যাল পরীক্ষা রিপোর্ট নিজে লেক থানায় জমা দিয়েছিলেন সেখানে যৌন নির্যাতনের বিষয়ে উল্লেখ নেই।শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের উল্লেখ ছিলো রিপোর্টে রাজ্যের তরফে দাবি , তাই ধর্ষণের স্বপক্ষে যথার্থ প্রমাণ পাওয়া যায়নি।এই ঘটনায় রাজ্যের নারীদের নিরাপততাহীনতায় বিক্ষোভে নামার যুক্তি আছে সেটি আবারও প্রমাণ করেছে।

By Argha Bhattacharyya

I am experienced three years in politics ,bengal culture,besides my experience & Our report is published after accurate data analysis

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *