আপনি এক বার দেখলে মনে করবেন এটা হয়তো ভূতের বাড়ি , পশ্চিমবঙ্গের এই রকম সরকারি স্কুল দেখেছেন,নেই দরজা জানলা, নিরাপত্তা নাম গন্ধ নেই ,দরকার নেই।কারণ শিক্ষক কিছুক্ষনের জন্য আসেন হাজিরা দেয় ,মাসের শেষে মাইনে নিয়ে বাড়ি যায়
রাজ্যের শিক্ষা ব্যাবস্থায় নিয়োগ দুর্নীতির কারবারি দের জেল হেফাজত থেকে জামিন হয়েছে। ধর্মতলায় চাকরী চাই অবস্থান দেখেছে বঙ্গ সমাজ ।আজ দেখবেন পুরুলিয়ার(Purulia WB) লটপদা অঞ্চলের ধারগ্রামে এই ভুতুড়ে স্কুল
উচ্চ প্রাথমিক স্কুলটি তৈরি হয় ২০১২ সালে, স্কুলে নেই ব্ল্যাকবোর্ড,নেই শিক্ষক, কাগজে কলমে স্কুল আছে ক্লাস হচ্ছে।
শিক্ষক নেই কেনো বলছি একজন শিক্ষকের খেয়াল খুশি আসে ।নিয়ম মেনে কিছুক্ষন থেকে বাড়ি চলে যায়। ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী পুরুলিয়ার বরাবাজার সদর থেকে প্রায় ২০কিলোমিটার অবস্থান এই স্কুলটির।
পশ্চিমবঙ্গের আদিবাসী অধ্যুষিত রাঙা মাটির এই জেলাটির বিভিন্ন স্কুল গুলিতে বিশেষত সরকারি স্কুলগুলিতে এই ঘটনা তেমন একটা , দেখা যায় না ।ক্লাস হয় সেটাও ঠিক ,কিন্তু পুরুলিয়ার বিভিন্ন (list of high schools in purulia district ) স্কুলগুলিতে শিক্ষকের স্বল্পতা রয়েছে।
এই বিষয়ে স্থানীয় মানুষজন বলছেন তাদের দাবি অবিলম্বে শিক্ষকের সল্পতা ঠিক করে নতুন ভাবে শিক্ষার পরিবেশ গড়ে উঠুক। রাত্রি তে দুষ্কৃতী দের আড্ডা ও স্থানীয় মানুষ গরু ছাগল রাখতে এই জায়গা ব্যাবহার করে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তিনিও গ্রামবাসীদের দাবি মেনে জানিয়েছেন পঠন পাঠন শুরু কর তে তিনিও উদ্যোগী।
এই স্কুলটি ২০১২ তে তৈরি হলেও সরকার দরজা লাগায়নি ,এখানে ব্যাবস্থা আছে মিড ডে মিলের , পানীয় জলের।বাথরুমের।২০১৩ সালে যোগদান করে তাপস কুমার সতপতি এই স্কুলে টিআইসি হিসেবে ।অতিথি শিক্ষকের জায়গায় তিনি দায়িত্ত্ব নেয়।ডিসেম্বর মাসে একজন শিক্ষক যোগদান করে উৎসশ্রী’ প্রকল্পে তিনি মেদিনীপুরে বদলি হয়ে যায়।
শিক্ষকরা সেই সময় অভিভাবকদের জানায় দুজন শিক্ষক স্কুল পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে না। ছাত্র ছাত্রীদের জেলার বিভিন্ন স্কুলে ভর্তির বিষয়ে জানায়।বলছেন অভিভাবকেরা
এই বিষয়ে জেলা পরিদর্শক গৌতম চন্দ্র মাল সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন ছাত্র স্বল্পতা আছে সেই জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছে(Purulia WB) স্কুল, তিনি ব্যাবস্থা নেবেন জানিয়েছেন।