Kolkata: দুই মহিলা ট্রলি ব্যাগে ভরে এনেছিলেন শাশুড়ির দেহ গঙ্গায় ফেলতে ,স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহর পাকড়াও দুই মহিলা।
সুমিতা ঘোষের দেহ পেঁচিয়ে সেট করে রাখা ছিল ট্রলির মধ্যে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সন্দেহ হয় ,তখনই তাদের বোকা বানানোর জন্য পোষ্য র দেহ বলে বোঝায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন সকাল বেলা মঙ্গলবার দুই মহিলা কুমোরটুলি ঘাটের কাছে একটি ট্রলি নিয়ে নামে ।স্থানীয় বাসিন্দাদের দেখে সন্দেহ হয়,তারা বলেন ট্রলি টি ভারী ছিলো ,সেই দেখে স্থানীয় মানুষজনের সন্দেহ হয়।মহিলাদের জিজ্ঞাসা করা হয় বলে পোষ্য র দেহ।কিন্তু এতো ভারী দেখে স্থানীয়রা ট্রলি খুলতে বলেন মহিলাদের।
স্থানীয়দের দাবি ট্রলি থেকে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছিল ,মহিলাদের ট্রলি খুলতে বললে বচসা বেঁধে যায় স্থানীয়দের সাথে।স্থানীয় এক মহিলাকে মারতে যায় অভিযুক্ত এক মহিলা।এর পরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়।নর্থ পোর্ট থানার পুলিশ এসে মহিলাদের আটক করে ।
মহিলাদের সুটকেস খুলতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় দেখতে পাওয়া যায় এক মহিলার দেহ সুটকেসে পেঁচিয়ে সেট করে রাখা ছিল ট্রলির মধ্যে।মাথাটা ট্রলির মধ্যেই ছিল। পেটে আঘাতের চিন্হ ওই মহিলার।মাথায় আঘাতের জিজ্ঞাসা করা হলে স্বীকার করেছে ধৃতরা।
এই ঘটনায় অভিযুক্ত দুই মহিলার নাম ফাল্গুনি ঘোষ ও আরতি ঘোষ ,মেয়ে ও মা একসাথে এসেছিলেন মহিলা সুমিতা ঘোষের দেহ ফেলতে ।ফাল্গুনি ঘোষ ও আরতি ঘোষ ,মধ্যমগ্রামের বীরেশপল্লির বাসিন্দা ।বর্ধমানের নাদনঘাটের বাসিন্দা সুমিতা ঘোষ আসেন তাদের এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে।
তাদের মধ্যে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক ভালো ছিলো না ফাল্গুনি ঘোষ এর।ফাল্গুনির পিসি শাশুড়ি সুমিতা ঘোষ, সোমবার বিকেল ৪’টে নাগাদ পিসিশাশুড়ির সঙ্গে অশান্তি শুরু হয়। ফাল্গুনি ধাক্কা দেয় সুমিতা ঘোষ পড়ে গিয়ে অজ্ঞান হয়,জ্ঞান ফিরলে ফাল্গুনি ইট দিয়ে ঘাড়ে-মাথায় আঘাত করে,সেখানেই মৃত্ হয় সুমিতা ঘোষ এর।
এদিন মা ও মেয়ে প্রথমে বাগবাজার, আহিরিটোলা ঘাট সংলগ্ন এলাকায় ট্রলি নিয়ে ঘোরা ফেরা করে,লোকজন থাকায় সেখান থেকে কুমোরটুলি এলাকায় এসে ওই দেহ সমেত সুটকেসটি গঙ্গায় ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করে।স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে সকল অপরাধ স্বীকার করে ওই দুই মহিলা পুলিশ তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে।
I am experienced three years in politics ,bengal culture,besides my experience & Our report is published after accurate data analysis