রাজ্যের পরীক্ষা হিসাবে মাধ্যমিক(Madhyamik 2025) প্রথম স্তর হিসাবে ধরা হয়। জীবনের প্রথম পরীক্ষা তে উত্তীর্ণ হলেই উচ্চ মাধ্যমিক ও কলেজ ,এটাই সাধারণ ছাত্র ছাত্রীর রুটিন হয় ।
আরেকটি নিয়ম থাকে যেটি হয় সোনিয়া , প্রিয়াঙ্কা দের ,না সোনিয়া গান্ধী অথবা প্রিয়াঙ্কা গান্ধী নয়।রাজনীতির লড়াই থেকে দূরে ওই সপ্তর্ষিমন্ডলের মতো উজ্জ্বল ,এদের পরীক্ষা অবিরত ।
তেমনি ইচ্ছা শক্তি এদের ও জুগিয়ে যাচ্ছে রসদ,মাধ্যমিকের প্রথম দ্বিতীয় ,তৃতীয় স্থানাধিকারী দের নিয়ে চর্চার মাঝে একটু সময় পেলে এদের ব্যাপার মনে আসে।
মাধ্যমিক পরীক্ষায়(Madhyamik Result) রাজ্যে প্রথম আদৃত ,দ্বিতীয় হয়েছেন অনুপম বিশ্বাস এবং সৌম্য পাল ,তৃতীয় ঈশানী চক্রবর্তী হয়েছেন। তবে খোলা আকাশের নিচে থেকে ও ,ইচ্ছা টা প্রতিপালন করেছে সোনিয়া , প্রিয়াঙ্কারা।
মাধ্যমিক পরীক্ষায়(Madhyamik 2025) উত্তীর্ণ হয়েছে সাহসী দুই কন্যে সোনিয়া , প্রিয়াঙ্কারা ।
এদের দিন অতিবাহিত হয় ফুটপাতে ,দু বেলা ঠিক খাবার টা পায় না।মনের অদম্য জোর জীবনের প্রথম পরীক্ষা উত্তীর্ণ করেছে ।সোনিয়া টালিগঞ্জ গভর্মেন্ট স্কুলের ছাত্রী ,প্রাপ্ত নম্বর (২১০) প্রিয়াঙ্কা প্রাপ্ত নম্বর (২১২) কালীধন ইনস্টিটিউশনে ছাত্রী।
পড়াশোনার চেষ্টা শুরু হয় মিত্রাদেবী র দ্বারা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী তিনি ওই দুজনকে ভর্তি করিয়ে দেন ক্লাস সেভেনে।দুজনেই দিয়েছিলো পরীক্ষা ।
প্রথম আলাপ হয় এই খোলা আকাশের নিচে ,দিদিমণি কে বলেছিলো পড়াশোনা করতে চায়।কিন্তু উপায় নেই দারিদ্র্য যে পিছু টান।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মী মিত্রা দেবী ব্যাবস্থা করে লেখা পড়া শেখানোর ।শুধু সোনিয়া ,প্রিয়াঙ্কা নয় এখন একটি বাড়ি ভাড়া নিতে চল্লিশ জন ছেলে মেয়ে কে শিক্ষা দান করছেন ।
সোনিয়া ,প্রিয়াঙ্কার প্রস্তুতি টা এখান থেকেই তবে রাত হলে ফিরে যেতে হয় খোলা আকাশের নিচে।তখন পথেই লড়াই সমাজ ও শিক্ষার ।
রাজ্যের মাধ্যমিক পরীক্ষায়( Madhyamik 2025 Result) সফল প্রিয়াঙ্কার এখন আতঙ্ক ঠিক এখন কি হবে উচ্চ শিক্ষার ।
নম্বরের বিচারে নয় । শিক্ষার চেষ্টায় দু’চোখ ছাপিয়ে জল গড়াচ্ছে প্রিয়াঙ্কা, সনিয়ার।
তখনও ভরসার স্থান মিত্রা দেবী ,তিনি জানিয়েছেন তাদের পড়াশোনার ব্যাপারে তিনি ব্যাবস্থা করবেন।
রাজ্যের সরকারি স্কুল গুলি এই অদম্য জেদের আস্তানা। এখন সেই স্কুল গুলি কে পরিচর্যা করতে হবে।
রাজ্যের সরকারি স্কুল( Goverment School) গুলি বন্ধ হচ্ছে।আসতে আসতে ভরসা হারাচ্ছে সোনিয়া ,প্রিয়াঙ্কা দের মতো সাধারণ বাড়ির ছেলে মেয়েদের।
এক সময় বাঙালি প্রোথিত জশা বিজ্ঞানী ,লেখক,সাহিত্যিক তাদের স্কুল জীবনের সৃতি মুখর পরিবেশ বর্ণনা করতো।প্রতিষ্ঠার স্তম্ভ ছিলো স্কুল ,যোগ্য শিক্ষক।
ছাত্র ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের গুরু শিষ্য সম্পর্কের সেই ,সুদিন ফিরবেই,সোনিয়া ,প্রিয়াঙ্কাদের জেদের কাছে সেটা আশা থাকবেই।পাঠশালা খুলবে ,মুখরিত হবে শিক্ষার আলোয়,সমাজ।
I am experienced three years in politics ,bengal culture,besides my experience & Our report is published after accurate data analysis