প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধর্মীয় স্বাধীনতা উপদেষ্টা বোর্ডে(Trump religious advisory board) অন্তর্ভুক্ত করলেন প্রাক্তন জঙ্গিদের !!!ওয়াশিংটন, ১৮ মে ২০২৫ | রিপোর্ট: 12newsworld
মার্কিন রাজনীতিতে নতুন বিতর্কের জন্ম দিল ট্রাম্প(Donald Trump) প্রশাসন। সাম্প্রতিক একটি সিদ্ধান্ত শোরগোল পরে গেছে হোয়াইট হাউসে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ধর্মীয় স্বাধীনতা উপদেষ্টা বোর্ডে(Trump religious advisory board) অন্তর্ভুক্ত করলেন প্রাক্তন জঙ্গিদের !!!
চরমপন্থী — ইসমাইল রোয়ার ও শেখ হামজা ইউসুফ(Ismail Royer ও Hamza Yusuf) কে নিয়োগে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
এই নিয়োগ শুধু মার্কিন নিরাপত্তা মহলেই(US national security experts) নয়, আন্তর্জাতিকভাবে ইসলামী পুনর্বাসন ও ধর্মীয় সহনশীলতা ব্যাপারে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।
এই ইসমাইল রোয়ার আসল পরিচয়
ইসমাইল রোয়ার (পূর্ব নাম: র্যান্ডেল টড রোয়ার)
একজন মার্কিন নাগরিক, যিনি ১৯৯০-এর দশকে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। লস্কর-ই-তৈয়বার জঙ্গি সংগঠনের সাথে নিবিড় যোগ ছিলো এই ব্যাক্তির।তিনি প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন(training in Pakistan) পাকিস্তানে লস্কর-ই-তৈয়বার সংগঠনে ২০০০ সালের দিকে প্রশিক্ষণ নেন বলে অভিযোগ ওঠে।
যুক্তরাষ্ট্রের আদালত ২০০৪ সালে তাঁকে সন্ত্রাসবাদে মদতের দায়ে গ্রেপ্তার করে । প্রায় ১৩ বছর কারাদণ্ড প্রাপ্ত একজন অপরাধী ।কাশ্মীরে রকেট-গ্রেনেড হামলার সঙ্গেও জড়িয়ে গিয়েছিল এখন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ইসলাম ও ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক এক সংস্থার ডিরেক্টর।
ইসমাইল রোয়ার, সাম্প্রতিক বক্তব্য কি বলেছেন(Royer’s statement on religious freedom)
**”আমি ভুল করেছি। কিন্তু আজ আমি বিশ্বাস করি, ধর্মীয় স্বাধীনতা মানে সবার কণ্ঠস্বর রাখা, এমনকি যারা আমার মতো অতীতে ভুল করেছে তাদেরও,”** — ইসমাইল রোয়ার, এক সাম্প্রতিক বক্তব্যে।
শেখ হামজা ইউসুফ: ইসলাম ও ধর্মীয় স্বাধীনতা বিষয়ক বিভাগে বহাল প্রচার?
শেখ হামজা ইউসুফের নাম বিশ্ব ইসলামিক জগতে সুপরিচিত(Hamza Yusuf, a Muslim scholar) ব্যাক্তিটিই চরমপন্থী মতাদর্শের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি এক সময় চরমপন্থী মতাদর্শের ঘনিষ্ঠ ছিলেন একাধিক প্রতিবেদন আছে। কোনও সন্ত্রাসবাদমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকার প্রমাণ নেই, তার কিছু অতীত বক্তব্য ও সংযোগ বিতর্ক তৈরি করেছে।
তিনি বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ায় অবস্থিত জেইতুনা কলেজের সহ-প্রতিষ্ঠাতা । ইসলামিক চিন্তায় উদারবাদী চিন্তার প্রবক্তা।
প্রতিক্রিয়া: ধর্মীয় সহিষ্ণুতা, না বিপজ্জনক বার্তা?
ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ মহল দ্বিমত পোষণ করে বলছে, এই নিয়োগ “অতীত ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।” তবে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞদের একাংশ বলেছে, এ ধরনের নিয়োগ আমেরিকার ধর্মনিরপেক্ষ চেতনার ওপর প্রশ্ন তোলে।
লারা লুমার, রিপাবলিকান বিশ্লেষক,মার্কিন সাংবাদিক তিনি এই নিয়োগ নিয়ে মন্তব্য করেছেন
“যারা আমেরিকার বিরুদ্ধে জিহাদ করেছিল, তাদের কি আদৌ নীতি-নির্ধারকের ভূমিকা দেওয়া যায়?”
অন্যদিকে বিকল্প মতবাদ আছে ধর্মীয় নেতারা বলছেন, “একজন মানুষের অতীত নয়, বর্তমান দায়বদ্ধতাই বড় কথা।”
বিশ্লেষণ: রাজনৈতিক কৌশল না পুনর্বাসনের বার্তা?
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের Trump Muslim outreach strategy) এই পদক্ষেপ মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে রাজনৈতিক গ্রহণযোগ্যতা বাড়াতে একটি কৌশলী চাল হতে পারে।
তবে এই ধর্মীয় বোর্ড কতটা (Trump advisor board controversy) ফলপ্রসূ হবে, তা নির্ভর করছে আমেরিকান জনমতের উপর — তারা কি একজন প্রাক্তন চরমপন্থীকে নেতা হিসেবে গ্রহণ করবে?সেটা নিয়ে প্রশ্ন করছে সাধারণ মানুষ।