Makaut University : প্রথম বর্ষের ছাত্রের সাথে ক্লাসরুমে বিয়ে বিতর্কে ম্যাকাউটের অধ্যাপিকার ইস্তফা

‘নাটক-প্রজেক্ট নয়’, শাস্তির মুখে ম্যাকাউটের অধ্যাপিকা(Makaut University)। তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে এলো কি তত্ব।

ছাত্রের সাথে ক্লাসরুমে ‘বিয়ে’ নিয়ে তদন্ত কমিটির রিপোর্টে এল সত্যি, শাস্তির মুখে অধ্যাপিকার পদত্যাগ

প্রথম বর্ষের ছাত্রের হাতে সিঁথিতে সিঁদুর অধ্যাপিকার। ক্লাসরুমেই ছাত্রকে বিয়ে। কলেজের নথিতে সই। বিতর্কে জড়িয়েছিলেন ম্যাকাউটের অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়।

ম‍্যাকাউটের ‘বিয়ে করা’ অধ‍্যাপিকা সামাজিক মাধ্যমে এসে জানিয়েছিলেন এটি ড্রামার পার্ট।তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন।

কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্টে উঠে আসে নতুন তত্ত্ব।এই বিয়ে কোনো সাইকো ড্রামার পার্ট নয় বলেই উল্লেখ করে কমিটি।নিছক কারিকুলামের যে পার্ট সেটাও নাকোচ করে দেয় তদন্ত কমিটি

এবার তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করতে চলেছে বিশ্ববিদ্যালয়। । ঘটনার ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এলে তাঁকে ছুটিতে পাঠায় কর্তৃপক্ষ। তিনি ছুটিতেই আছেন।

এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি অধ্যাপিকার সমস্ত দাবি খারিজ করেছে। রিপোর্টে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে, “এটা ড্রামা বা প্রজেক্ট নয়।” জানা যাচ্ছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের তদন্ত কমিটি জানিয়েছে অধ্যাপিকা পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি কমিটি সিধান্ত নেবে।

See Also : BREAKING NEWS : পাঁচ লাখ টাকা অ্যাডভান্স দিলে TET 2022 প্রশ্ন আজকেই বলে দেওয়া হবে চাঞ্চল্যকর বক্তব্য বিরোধী দলনেতা শুভেন্দুর

ঠিক কী হয়েছিল সেদিন ক্লাসরুমে? তদন্ত কমিটির রিপোর্টের কি উল্লেখ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানিয়েছেন।“প্রাথমিক রিপোর্টটা আমার হাতে দেওয়া হয়েছে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে ।তিনি বলেন তাঁরা জানতে পেরেছেন, এটা কোনও কোনও সাইকো ড্রামা নয়, এটা কারিকুলামের যে পার্ট, সেই যুক্তি ও খারিজ করেছেন উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী। এটা নিছক একটা তামাশার জিনিস, বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।”

তিনি এও জানিয়েছেন , “অধ্যাপিকার ভার্সনটা নেওয়া হয়নি। ওঁর বক্তব্য রেকর্ড হবে আগামী সপ্তাহে, আসলে এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা শুরু হয়েছে। , এই নিয়ে তামাশা হবে, পড়াশোনার সাংঘাতিক ক্ষতি হওয়াই স্বাভাবিক। এই ঘটনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, আমাদের একটা ডিসিপ্লিনারি কমিটি করতে হবে। সেই কমিটির সামনে তিনি রিপোর্ট দেবেন বলে জানিয়েছেন। কমিটি যা সিদ্ধান্ত নেয়, সেই হিসাবেই পদক্ষেপ করা হবে।”

ম্যাকাউটের এই অধ্যাপিকা অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান।

এই বিভাগীয় প্রধান পায়েল বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্লাসরুমে ‘বিয়ে’ বিতর্ক এই নিয়ে প্রথম থেকেই যে বক্তব্য উঠে আসছিল সেই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। অধ্যাপিকার বক্তব্য, যে সেটি ফ্রেশার্সের নাটকের একটি ক্লিপিংস, তিনি জানিয়েছিলেন ইচ্ছাকৃতভাবে ভাইরাল করা হয়েছে। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও রেজিস্ট্রারের বক্তব্য, কারিকুলামেরই একটি পার্ট।

এখানে তদন্ত কমিটির রিপোর্ট সেখানে আলাদা বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। তাদের রিপোর্টে, এটা ড্রামা বা প্রজেক্ট নয়।তাই এই অধ্যাপিকা কি বক্তব্য ডিসিপ্লিনারি কমিটি র কাছে পেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বা সিধান্ত কি দেখতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *