নাট্যকার ও অভিনেতা মনোজ মিত্র(Manoj Mitra) প্রয়াত, দীর্ঘদিন বার্ধক্য জনিত সমস্যায় ভুগছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা।85 বছর বয়সে প্রয়াত অভিনেতা মনোজ মিত্র ।
নাট্যকার ও অভিনেতা হিসেবে দাপটের সাথে কাজ করেছেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা ।একদিকে যেমন খল চরিত্র ও স্নেহশীল পিতার চরিত্রে সাবলীল ছিলেন মনোজ মিত্র ।
১৯৩৮ সালের ২২ ডিসেম্বর বাংলাদেশে খুলনা সাতক্ষীরা মহকুমার ধুলিহর গ্রামে জন্ম হয় , স্বাধীনতার সময় মনোজ চলে আসেন ভর্তি হয় স্কটিশ চার্জ কলেজে।তার পিতা ও মাতা অশোককুমার মিত্র এবং রাধারাণী মিত্র।
তাদের সুযোগ্য সন্তান ছিলেন। পেশায় অধ্যাপক ও নেশায় থিয়েটার অভিনেতা মনোজ মিত্র(Manoj Mitra) সমান তালে চালিয়ে গিয়েছেন তার কর্ম ক্ষেত্র। থিয়েটারে তার বাবার ইচ্ছা ছিলো না।
নাট্যকার ও নির্দেশক মনোজ তার নাট্যদলের নাম ছিল ‘ঋতায়ন’। বাংলা চলচ্চিত্র উল্লেখ্যযোগ্য অবদান তার অভিনীত চলচ্চিত্র বাঞ্ছারামের বাগান’, ‘শত্রু’, ‘তিন মূর্তি’, ‘দামু’ বাঙালি সংস্কৃতি অঙ্গনে চিরদিন সমাদর পেয়েছে।
নাট্যকার হিসাবে ১৯৭২সালে চাঁকভাঙা মধু তার অভিনীত প্রথম নাটক ও এই অঙ্গনে প্রবেশ ,তিনি নাটকের দল ‘সুন্দরম’ ১৯৫৭) সালে গঠন করেছিলেন। তার নির্দেশনায় এই দলটি ৭০০ টিরও বেশি নাটকের শো করেছে
মনোজ মিত্রের প্রথম নাটক(Manoj Mitra theater) ‘বোগল ধীমান রাজ্য প্রথম পুরষ্কার পায়। তার লিখিত নাটকের সাম্রাজ্যের বিস্তার এতটাই যেমন , পরবাস , অলোকানন্দর পুত্র কন্যা, নরক গুলজার , মেষ ও রাখশঅশ্বথামা , দেশ্বরম,চকভাঙ্গা মধু , নয়শো ভোজ , ছায়ার প্রশাদ , , শ্বরপদ , প্রভৃতি ঐতিহাসিক সৃষ্টি এই অভিনেতার।
সত্যজিৎ রায়, বুদ্ধদেব দাশগুপ্ত, তপন সিনহা, তরুণ মজুমদার, শক্তি বাঘা বাঘা ডিরেক্টরদের সঙ্গে অভিনয় করেছেন মনোজ মিত্র
তিনি তার নাট্য জীবনে বিভিন্ন সম্মান পেয়েছেন সঙ্গীত নাটক আকাদেমি পুরস্কার (১৯৮৫) ,শ্রেষ্ঠ নাট্যকার (১৯৮৩ এবং ১৯৮৯) ,এশিয়াটিক সোসাইটির স্বর্ণপদক (২০০৫) এছাড়াও পেয়েছেন কালাকার , দীনবন্ধু পুরস্কার।
মনোজ মিত্রের( Bengali actor Manoj Mitra )চিন্তন ও মনন বাঙালি সংস্কৃতির অঙ্গনে গর্বের বিস্তার করেছে। তাই শিল্পীর প্রয়ানে একটি দলিল ও নজির থেকে গেলো ভবিষৎ ও বর্তমান শিল্পীদের কাছে ,এই খাজনা থেকে বেছে নিতে পারবেন সঠিক শিল্পের সন্ধান।