Most healthy food in the world : আপনার পরিবারের জন্য হেলদি ফুড একটি জরুরি উপাদান।

এই ফুড গুলির মধ্যে ব্যায়বহুল ও সহজলভ্য খাদ্য , পুষ্টিগুণে ভরপুর সেই ব্যাপারে আপনাদের জানাবো।[ আমাদের লেখনি ভালো হলে নোটিফিকেশন অন করে দিতে পারেন]
এখন জেনে নিই বিশ্বের ব্যয়বহুল খাদ্যের বিষয়ে (Most Expensive Food in the World)
পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল এই খাদ্যটি রাশিয়ার জার ও ইউরোপের রাজপরিবারের খাদ্য ছিলো।
এটিকে স্ট্যান্ডার্ড ফুড বলতেই পারেন।
পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল খাদ্যগুলো বিভিন্ন উপাদান দিয়ে গঠিত হয় ।এই খাদ্যটি স্টার্জন মাছের ডিম দিয়ে তৈরি।সামুদ্রিক এই মাছের ডিম দেখতে গোলাকার , স্বাদে জেলির মতো।

নরম ও সুস্বাদু পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই খাদ্যটি র নাম হলো ক্যাভিয়ার।এই বেলুগা ক্যাভিয়ার (beluga caviar) সামুদ্রিক মাছের ওজন 600 lbs
এই বেলুগা মাছের জনপ্রিয়তা এতটাই মিষ্টি জলের বেলুগা প্রজাতির সংরক্ষণের জন্য ২০০৫ সালে এটি আমদানি বন্ধ করে দেয় আমেরিকা।
এই সবচেয়ে ব্যয়বহুল বেলুগা ক্যাভিয়ার (beluga caviar) দাম শুনলে অবাক হবেন।
এই ব্যয়বহুল বেলুগা ক্যাভিয়ার স্টার্জন মাছের ডিম উৎপন্ন ব্যায়বহুল ও গুনগ মান ঠিক রাখতে বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়।
সমুদ্রের মাছ হলেও বিভিন্ন পদ্ধতিতে ফিশিং ফ্রাম গুলি তে এই মাছ এখন চাষ হচ্ছে।প্রথমে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পরিষ্কার জল ব্যাবহার করতে হয় ।মাছের চারা নির্বাচন সঠিক হতে হয়।
নিয়মিত জল বদলানো ও বিশেষ চারা খেতে দেওয়া হয় মাছগুলি কে।
ডিম উৎপাদন পদ্ধতি : পৃথিবীর ব্যায়বহুল খাদ্য ক্যাভিয়ার (most expensive caviar in the world ) ডিম গুলি পরীক্ষা করতে ব্যাবহার হয় আলট্রাসনগ্রাফি ,দেখতে হয় ডিম গুলি সঠিক আকার নিয়েছে কি না।

একবার একটি মাছ থেকে প্রাচীন পদ্ধতিতে পেট কেটে ডিম গুলি সুনিপুণ উপায়ে আকার ঠিক রেখে বের করতে হয়।এখন মাছের পেটের একটি অংশ কেটে ডিম বের করে আবার সেলাই করে চৌবাচ্চায় ছেড়ে দেওয়া হয়।মহিলা স্টার্জন মাছ গুলি ডিম তৈরিতে ব্যাবহার হয়।
ডিম প্রক্রিয়াজাতকরণ পদ্ধতি( How to spot good caviar): এই পদ্ধতিতে বারো থেকে সতেরো বছর মাছ গুলি কে পরিচর্যা করে সঠিক পদ্ধতিতে ডিম না বের করলে গুণগত মান ও মাছের দাম ঠিক থাকে না।
ঠাণ্ডা জলে ডিম গুলি কে ধুয়ে লবণ যোগ করতে হয় এটিকে বলে মালোশল পদ্ধতি।সংরক্ষণ জন্য এই লবণ দেওয়া হয় এই ডিম গুলি কে ধাতব পাত্রে প্যাকেজিং করতে হয়।
Caviar grading standards : এক নম্বর ডিম গুলি দেখতে মুক্তোর মতো ,রং উজ্জ্বল ও স্বাদ জেলির মতো। এই ডিম গুলি পৃথকীকরণ পদ্ধতি তে সাবধানতা রাখতে হয়, হাতের দ্বারা নিডিলের সাহায্যে বাছাই করতে হয়।
দুই নম্বর ডিম গুলি প্রথম পর্যায়ের থেকে আকারে সমান নয় ,একটু ক্ষুদ্র ও স্বাদে একটু আলাদা হয়। .
এই স্বাস্থ্যকর খাদ্যটি র (most healthy food ) পুষ্টিগুণ হচ্ছে এতে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড,অ্যামাইনো অ্যাসিড ও প্রোটিন সমৃদ্ধ এই মাছ।এই মাছ খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে না। ভিটামিন বি টুয়েলভ থাকে এই মাছে,লোহিত রক্তকণিকা ,প্রোটিন ও স্নায়ু রোগের অব্যর্থ ঔষধ এই ক্যাভিয়ার মাছ।
ক্যাভিয়ার মাছের দাম (most expensive caviar in the world price ) এই মাছের ডিমের দাম তার গুনগন মানের উপর নির্ভর করে । বেলুগা ক্যাভিয়ার স্টারজন মাছের ডিমের বেলুগা ক্যাভিয়ারের দাম প্রায় ২০ লক্ষ টাকা ।অর্থাৎ এটিকে বলতে পারেন ধনীদের খাদ্য ।
এছাড়াও এই প্রতিবেদনে জেনে নিন পুষ্টি গুণে সমৃদ্ধ পৃথিবীর এক নম্বর সহজলভ্য খাদ্যগুলি সম্পর্কে।(most nutritious food on the planet)
আমাদের প্রকৃতিতে সহজলভ্য দামে সাশ্রয়ী খাদ্য গুলির উপস্থিতি আছে।তাই দামী প্রসেস ফুড থেকে পুষ্টি তো পাওয়া যায় না বিভিন্ন সময় এই খাদ্য গুলি রোগের কারণ হয়।
এই খানে জেনে নিন যে খাদ্য গুলি পুষ্টি গুণে এক নম্বর সেই ব্যাপারে।(most healthy fruit in the world )
এক নম্বরে কাঠ বাদাম: এই বাদামে উপকারিতা ,এই বাদামে ফলিক অ্যাসিড ও কোলিন আছে , স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখতে সাহায্য করে ।ডক্টর মিলটন বিশ্বাস এই গবেষণা করেছেন।এই বাদামে থাকে ভিটামিন ই ,ম্যাগনেসিয়াম , ফসফরাস ওজন,রক্তচাপ , ক্লান্তি দূর করতে সাহায্য করে।
মনোআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং ভিটামিন ই থাকায় হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই বাদাম।
এছাড়া বীজের থেকে ও পুষ্টি পেয়ে থাকি যেমন : বীজ গুলি তে থাকে প্রোটিন,ফাইবার ,খনিজ পদার্থ । হজম , টিসু গঠন , শরীরের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ।
চিয়া বীজ : এই বীজে ভর্তি থাকে ওমেগা থ্রি ,ফ্যাটি অ্যাসিড ,ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ।এই বীজ সন্ধ্যায় ভিজিয়ে রাখুন জলের সাথে । জেলির মতো হয়ে গেলে বীজ গুলি দই ওটস এর সাথে খেতে পারেন।
চিয়া বীজ উপকারিতা : রিফ্রেশ মেন্ট,ওজন,হজম ও পায়খানা পরিষ্কার হয়।ঘুমের সমস্যা ,রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে এই বীজ।
পুষ্টিকর বীজের আরেকটি হলো তিসি বীজ এই বীজ সুপার ফুড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে । এতে থাকে উচ্চ ওমেগা থ্রি ,ফ্যাটি অ্যাসিড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট।
ক্যালোরি পরিমাণ ৩৭% ভিটামিন বি সিক্স আর ডি আই সমৃদ্ধ ,এই বীজে আছে ২% ক্যালসিয়াম ,আয়রণ ২% ম্যাগনেসিয়াম ৭% থাকে।
ওমেগা – ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ভর্তি এই বীজ – ১৫৯৭ মিলিগ্রাম।তিসির বীজে থাকে লিগনান বৈজ্ঞানিক গবেষণায় জানা গেছে ৭০০ গুণ লিগমান আছে।মহিলাদের স্তন ক্যান্সারে ও ঋতুস্রাবের সমস্যার কার্যকরী তিসির বীজ।
তিসির বীজ ডিমের বিকল্প প্রোটিন সমৃদ্ধ ,এই বীজ গুঁড়ো করে জলে ভিজিয়ে খেতে হয় ৬ গ্রাম বীজ প্রতিদিন খেতে পারেন।
কুমড়োর বীজ: আমাদের বাড়ির উঠোনে কুমড়ো চাষ হয় ,জমিতে ,গ্রাম বাংলায় রাস্তার পাশে কুমড়ো চাষ দেখা যায়।
কুমড়োর বীজ একটি পুষ্টিকর খাদ্য (most healthy fruit in the world eating)
কোলেস্টরল কম হয় এই বীজ খেলে।ওজনের সমস্যা, ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য এই বীজ উপাদেয় খাদ্য ।রক্তের গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রিত হয় এই বীজ খেলে।
ট্রিপ্টোফ্যান নামক আমাইনো অ্যাসিড মানসিক চিন্তা কম করতে সাহায্য করে, এটি কুমড়ো বীজে পাওয়া যায়।
কুমড়োর বীজ জিংক থাকায় ইমিউনিটি জন্য সহায়ক।
এই বীজ তরকারি বা ভেজে শুকনো করে রান্না করতে পারেন ।
তাহলে আপনার হাতের মুঠোয় রয়েছে বিভিন্ন খাদ্য ধনীদের খাদ্য থেকে সাধারণ মানুষের জন্য উপযুক্ত পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাদ্য আপনার শরীরের সুস্থতা র জন সাহায্য করবে।
প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত ও বিভিন্ন চিকিৎসক ও আর্টিকেল থেকে নেওয়া হয়েছে।আপনাদের শারীরিক ও মানুষিক দিক বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শে এই খাদ্য গুলি নিতে পারেন