বীরভূমের আইসি-কে(IC Liton Haldar Threat) হুমকি: অনুব্রতের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা
রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবার কঠোর অবস্থান নিল বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে।
সম্প্রতি এক অডিও ক্লিপে অনুব্রত মণ্ডলকে বীরভূম জেলার ইলামবাজার থানার আইসি লিটন হালদারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে ও হুমকি দিতে শোনা যায়। এর ফলেই দলীয়ভাবে নেওয়া হয়েছে কড়া ব্যবস্থা।
কি বলেছিলেন অনুব্রত মণ্ডল?
বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল এক সভায় আইসি লিটন হালদারের জমা দেওয়া রিপোর্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ হন। ওই রিপোর্টে বলা হয়, সভায় প্রায় ১২ হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন। এই তথ্যেই বিরক্ত হয়ে তিনি আইসির বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ তোলেন এবং সরাসরি অপসারণের দাবি জানান।
এরপর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়ে যেখানে ‘অনুব্রত’ নামের এক ব্যক্তি আইসি-কে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং হুমকি দেন। এমনকি, আইসির স্ত্রী ও মায়ের বিরুদ্ধেও কুরুচিকর মন্তব্য করা হয়। ক্লিপে শোনা যায়, রাজীব কুমার নামে এক পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলার সময়ও অনুব্রত আইসি সম্পর্কে অবমাননাকর ভাষা ব্যবহার করছেন।
তৃণমূলের দলীয় প্রতিক্রিয়া
ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর ৩০ মে ২০২৫ তারিখে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দলীয়ভাবে অনুব্রত মণ্ডলকে চার ঘণ্টার মধ্যে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে বলা হয়। নির্দেশ স্পষ্ট—যদি তিনি ক্ষমা না চান, তবে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। এই পদক্ষেপ দলের অভ্যন্তরেও চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে।
আইনি ব্যবস্থা ও পুলিশি প্রতিক্রিয়া
ঘটনার পর বীরভূম জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে অনুব্রতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৭৫, ১৩২, ২২৪, ৩৫১ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার অমন্দীপ সংবাদমাধ্যমে জানান, ‘‘এই অডিও ক্লিপ কিভাবে ফাঁস হলো, তা তদন্ত করে দেখা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
বিরোধীদের প্রতিক্রিয়া
এই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি, কংগ্রেস এবং সিপিআইএম একসাথে কড়া ভাষায় নিন্দা জানিয়েছে। বিরোধীদের মতে, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে এবং শাসক দলের নেতারা পুলিশকে হুমকি দিচ্ছেন প্রকাশ্যে।
প্রকাশ্যে লিখিত ক্ষমা চেয়ে কি লিখলেন অনুব্রত মণ্ডল
এই প্রতিবেদন লেখার সময়ে অনুব্রত মণ্ডলের ক্ষমা প্রার্থনার খবর সামনে এসেছে।লিখিত উপায়ে ক্ষমা চেয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত তিনি চিঠি তে লিখেছেন বিভিন্ন ওষুধ খাই,সাম্প্রতিক ঘটনায় আমি দুঃখিত৷
একই সাথে তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে উদ্দেশ্য করে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন দিদির পুলিশের কাছে ১০০ বার ক্ষমা চাইছে রাজি আছি,এই পুলিশের বিরুদ্ধে চেই অভিযোগ করলে মাথা ঠিক থাকেনা।তিনি পুলিশের কাছে লিখিত ক্ষমা চেয়েছেন