Sunita Williams latest news : মহাকাশ অভিযানে স্পেস স্টেশনে সুনীতা দের জন্য বিশেষ ব্যায়াম মেশিন ব্যবহার হয়েছিলো।

Sunita Williams latest news : সুনীতাদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগে নাসা,দীর্ঘদিন স্পেস স্টেশনে আটকা থাকা। মাধ্যাকর্ষণ বাইরে থাকা ,ফলে শারীরিক দিকেও উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

মাধ্যাকর্ষণের বাইরে কি সমস্যা হয় জেনে নিন এই প্রতিবেদনে

মাধ্যাকর্ষণ পৃথিবীর মধ্যে একটি বস্তু আকর্ষণ কে বোঝায়। প্রতিটি বস্তুতে একটি আকর্ষণশক্তি সৃষ্টি করে, আমাদের দৈনন্দিন জীবনে পদার্থ ও জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করে মাধ্যাকর্ষণ। কিন্তু মাধ্যাকর্ষণ থেকে মুক্ত স্থানে কি অবস্থা হয় মানুষের । মহাকাশে ভাসমান গ্রহ নক্ষত্র একে অপরের সাথে আকর্ষণ করে। এই বলে পৃথিবীর বাহিরে যাওয়া মানে নানা শারীরিক ও জীববিজ্ঞানিক প্রভাবের সম্মুখীন হওয়া। মাধ্যাকর্ষণ থেকে মুক্ত পরিবেশে কী কী সমস্যা হতে পারে, তা নিয়ে কিছু পয়েন্টে আলোচনা করা হল:

  1. মাংসপেশী দুর্বলতা: পৃথিবীতে মাধ্যাকর্ষণ প্রভাবে আমাদের মাংসপেশী নির্দিষ্টভাবে গঠিত হয়। এই বলে জন্য পৃথিবীতে আমাদের পেশীগুলো বেশি শক্তি প্রয়োগ করতে হয় মাধ্যাকর্ষণহীন পরিবেশে মাংসপেশী ব্যবহার কমে যায়, পেশীর দুর্বলতার দেখা যেতে পারে।। বিশেষ করে, দীর্ঘ সময় ধরে মহাকাশে থাকার ফলে আমাদের পেশী সংকোচন ,ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
  2. অস্থিরতা (Bone Density Loss): এই বলের প্রভাব না থাকায় শরীরের হাড়ের ওপর চাপ কমে যায়। রক্তচাপ বৃদ্ধি ও হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। হাড় ভঙ্গুর হয়ে যেতে পারে।
  3. দৃষ্টিশক্তির পরিবর্তন: আমাদের শরীরের সূক্ষ পেশী চোখের তলদেশে রক্তপ্রবাহ মাধ্যাকর্ষণের অভাবে পরিবর্তিত হয়, যার ফলে দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক মহাকাশচারী এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন।
  4. স্বাস্থ্য সমস্যা: মাধ্যাকর্ষণের অভাবে হৃদপিণ্ডের রক্তপ্রবাহের পরিবর্তনে হার্টের স্বাভাবিক কাজ করতে সমস্যা হতে পারে।
  5. রক্তচাপের সমস্যা: মহাকাশে রক্তচাপ স্বাভাবিক বৃদ্ধি বা হ্রাস পায়। এতে শরীরের অন্যান্য অঙ্গের কার্যকারিতা বাধাগ্রস্ত হতে পারে।
  6. মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব: মাধ্যাকর্ষণহীন অবস্থায় দীর্ঘসময় থাকার ফলে দেখা দিতে পারে মানুষিক সমস্যা, যেমন হতাশা, অস্থিরতা, একাকীত্ব।

এইসব শারীরিক এবং মনস্তাত্ত্বিক সমস্যাগুলো মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকার জন্য সৃষ্টি হয় ।সুনীতা উইলিয়ামস দের (Sunita Williams)ও বর্তমানে এই সমস্যার জন্য পরীক্ষা হবে।এই জন্য মহাকাশচারীদের হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে রাখা হবে।

বিশেষ প্রশিক্ষণ নিয়ে তবেই যেতে হয় এই মহাকাশ অভিযানে।মাধ্যাকর্ষণের বাইরে থাকার জন্য স্পেস স্টেশনে রাখা হয়েছিলো বিশেষ ব্যায়াম মেশিন ।এই মেশিনের ব্যাবহারে ভারোত্তোলন , জিমনেশিয়ামে মতো বিশেষ ট্রেনিং সিস্টেম আছে।হাড় ক্ষয় এবং পেশী দুর্বলতা রুখে দিতে বিশেষ এই ব্যায়াম মেশিন মহাকাশে স্পেস স্টেশনে ব্যাবহার হয়।

ট্রেডমিল (Treadmill): মহাকাশচারীরা দৌড়ানোর জন্য ব্যাবহার করে। এই মেশিন বিশেষভাবে, এটি ডিজাইন করা হয় যাতে মহাকাশচারীরা গ্র্যাভিটির অভাবে মাটিতে পড়ে না যান।

পেডেল মেশিন (Cycle Ergometer with Vibration Isolation and Stabilization System – CEVIS): এটি একটি সাইক্লিং মেশিন, যা মহাকাশচারীদের সাইক্লিং জন্য এই মেশিন ব্যাবহার হয়। এই মেশিনে ব্যায়ামের মাধ্যমে পেশী এবং কার্ডিওভাসকুলার ব্যায়াম সঠিক হয়। পৃথিবীর মতো পরিবেশ সৃষ্টি র দ্বারা এই ব্যায়াম প্র্যাক্টিস করতে হয়

রেসিস্ট্যান্স এক্সারসাইজ মেশিন (Advanced Resistive Exercise Device – ARED): এটি একটি রোধ সৃষ্টি র জন্য ট্রেনিং ব্যাবহার হয়। মেশিন টি তে মহাকাশচারীদের ভারী বস্তুর দ্বারা চাপ দিয়ে পেশী শক্তিশালী করার সুযোগ দেয়।

এই মেশিনগুলো ২০০৯ সালে স্থাপিত , পৃথিবীতে ফিরে নভষ্চর দের শারীরিক সমস্যা প্রতিরোধে এই মেশিন গুলি সহায়তা করে

পৃথিবীতে ফিরে সুনীতা উইলিয়ামস এখন (Sunita Williams latest news) আপাতত পঁয়তাল্লিশ দিনের জন্য তাদের থাকতে হবে হিউস্টনে নাসার জনসন স্পেস সেন্টারে।

তাদের হাড়ের ঘনত্বের পরিমাপ হবে।যে টি জানা যাচ্ছে তাদের হাড়ের ক্ষয় হয়েছে।একজন মানুষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি হয় হাড় ও পেশীর।পৃথিবী তে থাকলে মাধ্যাকর্ষণের জন্য হাড়ের বৃদ্ধি দ্রুত হয়।দীর্ঘ ৯ মাসে সুণীতাদের হাড়ের গঠন হয়নি।পেশীর বৃদ্ধির জন্য পর্যাপ্ত বৃদ্ধি হয়েছে।এই জায়গায় চলাচলের সমস্যা হচ্ছে তাদের, দাঁড়িয়ে থাকলে সমস্যা হচ্ছে।

মহাকাশে ভেসে থেকে হাঁটতে ভুলেই গিয়েছেন তাই শুয়ে বসে থাকলেও বুঝতে পারবেন না। নভশ্চরদের শরীরে কি প্রভাব সৃষ্টি হয় এই এক্সাম্পল দিলে বুঝতে পারবেন।মাধ্যাকর্ষণের বাইরে ,একটি মহাকাশ যান যেতে যে পরিমান গতি বৃদ্ধি হয়।একটি মানুষ বসে বা দাঁড়িয়ে থাকলে হাড়,ও পেশী ছিঁড়ে ও গুঁড়ো হয়ে যাবে।মাধ্যাকর্ষণের প্রভাব দীর্ঘদিন না থাকলে ঠিক উল্টো সমস্যা পেশীর কাজ কম হয় তাই বৃদ্ধি থাকবে না।

 বিভিন্ন মাইক্রো নিউটিয়েন্স ঘাটতি হবে ।সুনীতা যেহেতু মহিলা তাই একটি নির্দিষ্ট বয়সে মেয়েদের এই মাইক্রো নিউত্য়েন্স ঘাটতি হবে ।।আপাতত

সুনীতাদের আবার আগের মতো অবস্থায় আসতে গেলে মাস খানেক সময় দরকার হবে।শরীরে র ওজন মানিয়ে নিতে ৫ ডিগ্রি ঢালু সোফাতে শুয়ে অভ্যাস করতে হবে।এই ঢল ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে।এছাড়া শরীরের উপাদান বিভিন্ন মাইক্রো নিউটিয়েন্স ঘাটতি হবে ।সুনীতা যেহেতু মহিলা তাই একটি নির্দিষ্ট বয়সে মেয়েদের এই মাইক্রো নিউত্য়েন্স ঘাটতি হবে ।।আপাতত বিশেষ পরীক্ষকের তত্ত্বাবধানে তাদের থাকতে হবে। সুনীতা দের সাফল্যে গর্বিত পৃথিবী ও ভারতবর্ষের মানুষ।দেশের প্রধানমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা তিনি ভারতীয় বংশোদ্ভুত সুনীতা কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। একজন মহিলা হয়ে এই অভিযান জন্য শুভেচ্ছা জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

By Argha Bhattacharyya

I am experienced three years in politics ,bengal culture,besides my experience & Our report is published after accurate data analysis

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *