Dearness allowance News: রাজ্য সরকার কিছু শিক্ষকদের জন্য আট শতাংশ মহার্ঘ ভাতা (DA) অনুমোদন করেছে৷

Spread the love

 বাংলা ক্লাস এ স্কুলের শিক্ষকরা বিশেষ DA বৃদ্ধির সুবিধা পাবেন

 তারিখ: জুন 4, 2023

রাজ্য সরকার সম্প্রতি শিক্ষকদের একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে আট শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা (ডিএ) দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে।  অর্থ বিভাগ কর্তৃক অনুমোদিত এই সিদ্ধান্ত চলতি বছরের ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে।  শিক্ষা বিভাগ নিকট ভবিষ্যতে এই উন্নয়নের বিষয়ে একটি অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

                  

 আট শতাংশ ডিএ ইনক্রিমেন্ট ডিএ পাওয়া স্কুল হিসাবে চিহ্নিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক এবং শিক্ষিকা কর্মীদের জন্য প্রযোজ্য হবে।  পশ্চিমবঙ্গে, স্কটিশ চার্চ কলেজিয়েট স্কুল, মহেশ্বরী হাই স্কুল, জালান গার্লস স্কুল, পাঠভবন, মাড়োয়ারি গার্লস স্কুল এবং তাতিয়া হাই স্কুলের মতো বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান সহ এরকম চল্লিশটি স্কুল রয়েছে।  এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বর্তমানে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি দিয়ে থাকে।

 সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের তুলনায় এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে কম।  বর্তমানে, তারা ROPA 2009 (সংশোধিত বেতন কাঠামো) এর বিধানের উপর ভিত্তি করে বেতন পায়।  এই বৈষম্য স্বীকার করে, রাজ্য সরকার এই শিক্ষকদের জন্য ডিএ হার আট শতাংশে উন্নীত করার উদ্যোগ নিয়েছে, তাদের আর্থিক উদ্বেগ দূর করার লক্ষ্যে।

 এই সিদ্ধান্তের বাস্তবায়ন বাংলা ক্লাস এ স্কুলে শিক্ষকদের আর্থিক বোঝা কমাতে সাহায্য করবে।  বর্ধিত ডিএ একটি অতিরিক্ত ভাতা হিসাবে কাজ করবে, তাদের আরও ভাল পারিশ্রমিক প্রদান করবে এবং তাদের সামগ্রিক আর্থিক স্থিতিশীলতা উন্নত করবে।  রাজ্য সরকারের এই পদক্ষেপ শিক্ষক সম্প্রদায়কে সমর্থন এবং তাদের মঙ্গল নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে।

 আট শতাংশের নতুন ডিএ হার কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অনুপ্রেরণা ও মনোবলের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।  ঘোষণাটি ব্যাপকভাবে স্বাগত জানানো হয়েছে, এবং শিক্ষকরা অধীর আগ্রহে শিক্ষা বিভাগের অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা করছেন।

 উপসংহারে, বাংলা শ্রেণির A স্কুলে শিক্ষকদের জন্য মহার্ঘ ভাতা আট শতাংশে বাড়ানোর রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুল শিক্ষকদের মধ্যে বেতন বৈষম্য মোকাবেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।  এই উদ্যোগ শুধু শিক্ষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতিই করবে না বরং এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সামগ্রিক মান বৃদ্ধিতেও অবদান রাখবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *