শুধু আমাকে রাজ্যপাল ডাকছে রাজভবনে সন্দেহ করছেন তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা

Spread the love

শুধু আমাকে রাজ্যপাল ডাকছে রাজভবনে সন্দেহ করছেন তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা। তৃণমূলের দুই বিধায়ক তাদের শপথ গ্রহণ নিয়ে সৃষ্টি জটিলতা ।

                                     

শুধু আমাকে রাজ্যপাল ডাকছে রাজভবনে সন্দহ  তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা

সেই নিয়ে রাজভবনে ,আজ বি আর আম্বেডকর , মূর্তির পাদদেশে অবস্থানে বসেছেন উপনির্বাচনে জয়ী দু’জন বিধায়ক।

আগের দিন রাজভবনের সিঁড়িতে বসে ধর্না দেয় দুই বিধায়ক ,তাদের দাবী ছিলো বিধানসভায় শপথ পাঠ ,এরপরে আজ তাদের দাবী বিধানসভায় একদিনের অধিবেশনে সেইখানে শপথের ব্যাবস্থা করতে হবে।

রাজ্যপাল ছাড়াই বিধানসভার স্পিকার শপথ বাক্য , পাঠ করাতে পারে।সেই ক্ষেত্রে সংবিধানের আইনের বিষয় উল্লেখ করে তৃণমূল বিধায়ক সায়ন্তিকা,তিনি  বলেন রাজভবন থেকে তাদের শপথ বাক্য পাঠ নিয়ে চিঠি ,দিয়ে জানানো হয়নি।স্পিকারের কাছে সেই বিষয় রাজ্যপাল জানান নি।এখন তাদের দাবী তারা বিধানসভায় শপথ নেবেন।

তাদের উপনির্বাচনের জয়ের পরে শপথ গ্রহণ না হলে কাজের অসুবিধা হচ্ছে।তাই বিধানসভা ,স্পিকারের কাছে ও তাদের শপথ গ্রহণে অসুবিধা নেই।

এছাড়াও সায়ন্তিকা ,চাঞ্চল্যকর দাবী করেন, উপনির্বাচনে ভগবান গোলার বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার ,সায়ন্তিকা দুজনেই উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থী,তাদের দুজনকেই শপথ গ্রহণে ডাকার জন্য বলতে হবে,সেই নিয়ম অগ্রাহ্য করে রাজ্যপাল তাকেই ডাকছেন শপথ গ্রহণে রাজভবনে।

সন্দেহ প্রকাশ করেছেন শপথ বাক্য পাঠ জন্য

সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এই বিষয়ে বলেন তাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে শপথে না এলে  আইনত ব্যাবস্থা নেওয়ার ।রেয়াত হোসেনের কাছে চিঠি যেতে সময় লাগবে।তাকে ইমেল করে পাঠাতে কি অসুবিধা ছিলো।

রাজ্যপালের চেয়ার টা কে সম্মান করি ,তাই আগের দিন কিছু বলিনি। ২১ তারিখ স্পিডপোস্টে এবং ইমেলেে চিঠি  আমার একার কাছে কেন  পৌঁছবে? ওনার ব্যাবহার সন্দেহজনক ।আমি নিরাপদ বোধ করছি না এভাবে রাজভবনে যেতে 

এর আগে সংবিধানের রাজ্যের প্রশাসনের প্রধান রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছিলো রাজভবনের মহিলা কর্মীর বিরুদ্ধে। রাজ্যপাল ক্ষমতায় থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায় না।তবু রাজ্য পুলিশ নিজের মতো তদন্ত শুরু করেছিলো।মহিলার বয়ান রেকর্ড করা হয়েছিলো।

রাজপাল সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছিলেন রাজভবনের সি সি টিভি ফুটেজ দেখবেন।সেখানেও প্রশ্ন ওঠে রাজভবনের ভিতরের ফুটেজ দেখানো হলোনা সেই নিয়ে।

বর্তমানে তৃণমূলের দুই বিধায়কের শপথ নিয়ে সংঘাতে রাজ্য রাজভবন।তাদের বক্তব্য আমরা প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন জানাব। আমরা কি শপথ নেওয়ার যোগ্য নই? আমরা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি আপনার মতো মনোনীত নই। আমাদের কিছু দায়-দায়িত্ব রয়েছে।

প্রশাসনিক মিটিংয়ে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন রাজভবনে যা ঘটেছে, তাতে সেখানে যাওয়ার সাহস পাচ্ছেন না মেয়েরা। সেই নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগ এসেছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। 

এখন এই দুই তৃণমূল বিধায়কের শপথ নিয়ে দ্বন্দ্বের সমাধান কি হয় সেটাই দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *