সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে ভারতের কড়া বার্তা, উপমহাদেশে উত্তেজনা
২০২৫ সালের ৬ মে মধ্যরাতে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী(Indian Army) “অপারেশন সিন্দূর” (Operation Sindoor)নামে একটি যৌথ সামরিক অভিযান।
এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি স্থানেে
অপারেশন সিন্দূর(Operation Sindur) : নয়টি স্থানে নির্ভুল হামলা, ৮০-৯০ সন্ত্রাসীর মৃত্যু, আন্তর্জাতিক মহলে উদ্বেগ
সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটিতে নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। এই পদক্ষেপটি ২২ এপ্রিল, ২০২৫ তারিখে জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে সংঘটিত সন্ত্রাসী হামলা পরিপ্রেক্ষিতে ২৬ জন নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় নেওয়া হয়।
🛡️ অভিযানের বিস্তারিত
ভারতীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের(Home Ministry) বিবৃতি অনুযায়ী, হামলার লক্ষ্য ছিল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন লস্কর-ই-তৈয়বা ও জইশ-ই-মোহাম্মদ এর ঘাঁটি।
নির্দিষ্টভাবে, বাহাওয়ালপুর, মুরিদকে, কোটলি, ও গুলপুর এলাকায় অবস্থিত ঘাঁটিগুলোতে হামলা চালানো হয়। এই হামলায় উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র, যেমন স্ক্যাল্প ও হ্যামার মিসাইল ব্যবহার করা হয়। অভিযানটি মাত্র ২৩ মিনিট স্থায়ী ছিল এবং এতে ভারতীয় বিমান বাহিনীর রাফাল যুদ্ধবিমান অংশগ্রহণ করে।
⚠️ পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ও আন্তর্জাতিক উদ্বেগ
পাকিস্তান এই হামলাকে “যুদ্ধের ঘোষণা” বলে আখ্যা দিয়েছে এবং দাবি করেছে যে, এই হামলায় অন্তত ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছে।
পাকিস্তানি সরকার আরও দাবি করেছে যে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান আটক করেছে এবং পাল্টা হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর(Indian Army) একটি ব্রিগেড সদর দপ্তর গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মহল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস উভয় দেশকে সংযম রক্ষার জন্য জানিয়েছেন।
🧭 ভবিষ্যৎ পরিপ্রেক্ষিত
এই সামরিক অভিযানের ফলে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও ঘোরালো হয়ে যাবে। উভয় দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের অবনতি ঘটেছে, এবং সীমান্ত এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানিয়েছেন যে, এই পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে যদি উভয় পক্ষ সংযম না দেখায়।