আপনি কি জানেন দুধে র ভেজ ও নন ভেজ আছে !!!???আসুন আজ জেনে নিই নন ভেজ দুধের(Milk is Veg or Non-Veg) ব্যাপারে ,
এই নিয়ে ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে।আমেরিকার প্রেসিডেন্টের শুল্ক নীতির প্রভাব তো এতদিন ছিলই ,এখন দুধ নিয়ে দুই দেশের ব্যাবসায়িক মহলে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে।
আমেরিকার বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম এবং ভারতের বিখ্যাত সংবাদ মাধ্যমগুলোর হেডলাইন এই নন ভেজ মিল্কের ব্যাবসা নিয়ে।
ভারতের সাথে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য আমেরিকার সম্পন্ন হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক।এই পরিস্থিতির মধ্যে দুগ্ধ রপ্তানি নিয়ে যে গোলযোগের সূত্রপাত দিল্লির তরফে বাধা প্রদান করা হয়েছে।
আমিষ দুধ নিয়ে ভারতের বক্তব্য কি |What is the statment India about non veg milk
ভারতীয় সভ্যতা সংস্কৃতির পরিপন্থী এই আমিষ দুধ।ভারতের পররাষ্ট্র ,বাণিজ্য দফতর এটিকে ” অমীমাংসিত লাল রেখা ” বলে বিবৃতিতে জানিয়েছে।আমেরিকার নানা শহরে গোচারণ খামার এগুলিতে গরুর খাবারে মেশানো হচ্ছে আমিষ ,মাংস বা ছাল মেশানো গো খাদ্য খাওয়া গরুর দুধ ভারতের বাজারে নিষিদ্ধ করতে চাইছে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য মন্ত্রক।
ভারতের তরফে আরো বলা হয় আমেরিকার তরফে ” এটি সার্টিফায়েড করে দিতে হবে আমদানীকৃত গরুর দুধে আমিষ গো খাদ্য ব্যাবহার হয়নি।”
এছাড়াও ভারতে উৎপাদিত ডেয়ারী শিল্প দুধ, চিজ,মিল্ক পাউডার থেকে ১.৪ বিলিয়ন মানুষ পুষ্টি লাভ করে ।শিশুদের নির্ভরযোগ্য পানীয় দুধের যোগান দেয় ভারতের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন।
ভারতের মিল্ক সোসাইটি এছাড়া ইন্ডিভিজুয়াল ছোট ফার্ম গুলি 80 মিলিয়ন, ব্যাক্তির কর্মসংস্থান করছে।সরকারি তথ্য থেকে সংবাদপত্রে প্রকাশ।
যুক্তরাষ্ট্রের তরফে ভারতীয় দৈনিকে জানানো হয়েছে ডেয়ারী সার্টিফিকেশন ২০২৪ তে এই রকম আমিষ দুধের ব্যাপারে উল্লেখ নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাখ্যা | United States’ response in non veg milk
যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডি সি তরফে জানানো হয় ভারত একটি নিছক বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরির চেষ্টা করছে।এই ব্যাপারে WTO তে জানানো হবে বলেও বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।ভারতীয় সংস্কৃতি তে একটি অংশের নিরামিষ ভক্ষণ ,ধর্মীয় দিকের ব্যাপারে উল্লেখ করা হয়নি ।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম গুলিতে বলা হয়েছে আমেরিকার যে ডেয়ারী ফার্ম গুলিতে দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য উৎপাদন করা। হয়, গো পালন করতে তাদের গো খাদ্য তে মেশানো হচ্ছে “শূকর, মাছ, মুরগী, ঘোড়া, এমনকি বিড়াল বা কুকুর এর মাংসের টুকরো” একই সাথে প্রোটিনের জন্য শূকর এবং ঘোড়ার রক্ত মেশানোর অভিযোগ উঠেছে ফার্ম গুলির বিরুদ্ধে ।
আমেরিকান ডেইলি তাদের একটি সংবাদে ডেয়ারী শীর্ষক একটি রিপোর্টে ঘোড়ার থাই এর ব্যাবহারে র উল্লেখ করেছে। দুধের উৎপাদন ফ্যাট বৃদ্ধির জন্য গরুর খাদ্যে আমিষের ব্যাবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
নন ভেজ দুধ নিয়ে ভারতীয় বানিজ্য নীতি | Indian trade policy with non -vegg milk
দুধ উৎপাদন ,দুগ্ধজাত প্রোডাক্ট রপ্তানির জন্য একটি বৃহৎ উৎপাদক। ভারত 2023-2024 সালে মোট দুগ্ধজাত পণ্য রপ্তানি করেছে 63,738.47 মেট্রিক টন ।ভারতের সাথে যুক্তরাষ্ট্র এছাড়া বাংলাদেশ ,অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড থেকে। বানিজ্য র দিকট মাথায় রেখে এই দেশগুলি থেকে আমদানি বন্ধ করতে চাইছেনা।
আমদানির উপর শুল্ক আরোপ করে যে পণ্য গুলিতে ১) পনিরের উপর ৩০%, ২) মাখন ৪০% ৩) দুধ( গুঁড়ো) ৬০% এই পণ্য গুলি আমদানি করে ,এর জন্য লস হয় ।দুগ্ধজাত পণ্যের উৎপাদন থাকায়, দেশগুলি কম দামে রপ্তানি করে থাকে।
ভারতের এই বানিজ্য নীতির পাশে দাঁড়িয়ে গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনস্টিটিউট (জিটিআরআই) এর তরফে অজয় শ্রীবাস্ত জানিয়েছেন ” আপনারা চিন্তা করে দেখুন যে মাখন খাচ্ছেন ,গরু গুলিকে মাংস এবং রক্ত এছাড়া ঘোড়া শুকরের মাংস ছাল দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় সংস্কৃতির জন্য ,যেখানে ধর্মীয় ব্যাপারে বাধা দান করতে পারে সেটি অনুমতি দেওয়া যায় না”।
এছাড়া মহারাষ্ট্রের কৃষক রয়টার্সের কাছে জানিয়েছে ” সরকারকে এমন সিধান্ত নিতে হবে ,সস্তায় আমদানি করে ভারতীয় দুগ্ধ খামার যুক্ত থাকা কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত না হতে হয়”।
ভারত দুগ্ধ রপ্তানি উৎপাদনে এই লক্ষ কৃষকের ভূমিকা ব্যাপার চিন্তা করতে বলা হয়েছে।