12newsworld | প্রতিবেদন

Bangla Sasya Bima : বাংলা শস্য বিমায় রাজ্যের চমক, লক্ষ কৃষকের অ্যাকাউন্টে ১৫৮ কোটি টাকা ট্রান্সফার, আলুচাষীদের সস্তি মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণায়

রাজ্য সরকারের কৃষি সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পে এবার বড় ঘোষণা। রাজ্যের আলুচাষীদের জন্য সুখবর—পশ্চিমবঙ্গের লক্ষ লক্ষ কৃষক পরিবারকে স্বস্তি দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর আর্থিক ঘোষণা।

সরকার সরাসরি মঙ্গলবার থেকে তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ১৫৮ কোটি টাকা ট্রান্সফার প্রক্রিয়া শুরু করবে—নবান্ন দফতর থেকে জানানো হয়েছে।

কী কারণে এই টাকা দেওয়া হয়েছে?

এই অনুদান মূলত কৃষকদের শস্যহানির ক্ষতিপূরণ হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন অতিবৃষ্টি, খরা, বা ঝড়ের কারণে যেসব কৃষক আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হয়েছেন, তাঁদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতেই এই অর্থ সাহায্য।

**সরকারি সূত্রে কী জানা গেছে?**

কৃষি দফতরের সূত্রে জানা গেছে, এই টাকা রাজ্যের ২৩টি জেলায় ছড়িয়ে থাকা প্রায় ১ লক্ষ কৃষকের মধ্যে বণ্টনের ব্যাপারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছেন। প্রতিটি কৃষকের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে DBT (Direct Benefit Transfer)-এর মাধ্যমে এই টাকা পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ক্ষেত্রে কৃষকদের নামে একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থাকা বাধ্যতামূলক। দালাল বা মধ্যস্বত্বভোগীর হাত থেকে রক্ষা পেতেই এই ব্যবস্থা।

**কৃষকদের প্রতিক্রিয়া**

বীরভূম, বাঁকুড়া, মালদা, পূর্ব মেদিনীপুর প্রভৃতি জেলায় কৃষকদের মুখে হাসি। একজন কৃষক বলেন, “আমরা ভাবতেও পারিনি এত তাড়াতাড়ি টাকা পেয়ে যাব। এটা আমাদের জন্য সত্যিই বড় সহায়তা।”

**বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পের বৈশিষ্ট্য:**

* কৃষকদের ফসলের হানি হলে ক্ষতিপূরণ
* সম্পূর্ণ ডিজিটাল আবেদন পদ্ধতি
* DBT-র মাধ্যমে টাকা প্রদান
* কোনো দালাল ছাড়া সরকারি সুবিধা সরাসরি প্রাপকের কাছে

বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পটি (crop insurance scheme West Bengal)( ২০১৯ সালে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও কৃষি দফতরের উদ্যোগে শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত ৩,৭২০ কোটি টাকার মতো কৃষকদের আর্থিক সুবিধা প্রদান করা হয়েছে।

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন, তিনি লিখেছেন:

“অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, আজ রাজ্য সরকার ‘বাংলা শস্য বিমা’ প্রকল্পের আওতায় বাংলার ১ লক্ষেরও বেশি আলুচাষিকে সরাসরি তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ১৫৮ কোটি টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান শুরু করল। আমি বাংলার সকল কৃষক ও তাঁদের পরিবার-পরিজনকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।”

রাজ্যের আলুচাষিরা মার্চে রবি মরশুমে বৃষ্টি ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ব্যাপক ফসলহানির শিকার হন। এই বছর তাঁদের সেই ক্ষতির আর্থিক সহায়তা প্রদান রাজ্যের কৃষকদের কাছে বড় সস্তির বার্তা।

এদিনের ঘোষণায় জানানো হয়েছে, প্রিমিয়াম বাবদ যে টাকা রাজ্যের কৃষকদের দিতে হতো, তা রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুকুব করা হয়েছে।

কীভাবে আবেদন করবেন? | BSB Form Fill Up

যেসব কৃষক এখনো BSB (বাংলা শস্য বিমা প্রকল্পে) আবেদন করেননি, তাঁরা সংশ্লিষ্ট কৃষি অফিস থেকে ফর্ম সংগ্রহ করতে পারেন বা e-Krishi পোর্টালে গিয়ে আবেদন করতে পারেন। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

* জমির খতিয়ান
* আধার কার্ড
* ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ডিটেইলস
* কৃষকদের বিবরণ
* ব্লক, মৌজার নাম ও জে এল নম্বর, খতিয়ান নম্বর, দাগ নম্বর, কতগুলো জমির জন্য আবেদন করছেন
* ভাগচাষী নাকি ভাড়াচাষী, ফসল রোপণের তারিখ

বাংলা শস্য বীমা অফিসিয়াল লিংক: আপনি এই লিংকে বিস্তৃত  বিবরণ জানতে দেখে নিতে পারেন Bangla Sasya Bima

 

আপনার আবেদন এই সাইটের ‘স্ট্যাটাস’ অপশন ব্যবহার করে চেক করার সুবিধাও রয়েছে।

 

বাংলা শস্য বিমা প্রকল্প (Bangla Sasya Bima) পশ্চিমবঙ্গের কৃষকদের জন্য এক বড় আশীর্বাদ। সরকার যেমন সরাসরি অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠিয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেছে, তেমনি কৃষকদের আস্থা অর্জনেও সাফল্য পেয়েছে। কৃষকবান্ধব এই উদ্যোগ রাজ্যের কৃষিনীতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত।

By Argha Bhattacharyya

I am experienced three years in politics ,bengal culture,besides my experience & Our report is published after accurate data analysis